গরু ব্যবসায়ীদের ট্রাকের সামনে হাটের ঠিকানার ব্যানার টানানোর নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
Published : 04 Jun 2024, 05:53 PM
কোরবানির পশুর হাট ঘিরে কোনো ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থানা নজরে আসলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ঈদ উপলক্ষে মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় পশুর হাটকেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় কথা বলছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।সভায় হাটের ব্যববস্থাপনা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশনা দেন তিনি।
ইজারাদারদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকা মহানগরীতে এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়া যাবে না। জোরপূর্বক এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
রাজধানীতে ঢুকতে গরুর ট্রাক নিয়ে চাঁদাবাজি ‘সহ্য করা হবে না’ মন্তব্য করে গরু ব্যবসায়ীদের ট্রাকের সামনে হাটের ঠিকানার ব্যানার টানানোর পরামর্শ দেন হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, “প্রয়োজনে ব্যানারে সংশ্লিষ্ট হাটের ইজারাদারের মোবাইল নম্বর লিখে রাখবেন। কোনো সমস্যা হলে হাইওয়ে এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ এবং ঢাকা মহানগর এলাকায় ডিএমপি কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে।”
গরু নিয়ে আসা নৌকা বা ট্রলারের নিরাপত্তা নৌ পুলিশ দেখবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। প্রয়োজনে ডিএমপির সদস্যরা নৌ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা মহানগরে যাতে নির্ধারিত জায়গার বাইরে হাট না বসে সেটি সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরকে দেখভাল করতে নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
হাটের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় পুলিশ ও হাটের ইজারাদারদের সমন্বয় করে কাজ করার কথা বলেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা এবং সেখানে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা থাকার বিষয়েও পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “হাট পরিচালনা কমিটি হাটে স্থানীয় পুলিশের নম্বর প্রদর্শন করে ব্যানার টানাবে। রাস্তায় যাতে যান চলাচলে অসুবিধা না হয় এজন্য ইজারাদারদের ব্যারিকেড দিয়ে হাটের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।”
হাটে জাল নোট শনাক্ত এবং অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এছাড়া কেনাবেচায় বেশি পরিমাণ টাকা স্থনান্তর করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার জন্য মানি এস্কর্ট নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানান।
সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ডিপিডিসি, ডেসকো ও ডিএনসিসির প্রতিনিধি, ঢাকা মহানগরের সব গরুর হাটের ইজারাদাররা উপস্থিত ছিলেন।