এ পর্যন্ত চারটি মামলায় এই দম্পতির মোট নয় বছর কারাদণ্ড হলো।
Published : 13 Apr 2025, 06:10 PM
প্রতারণার আরেকটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি দুইজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এম মিসবাহ উর রহমানের আদালত এ রায় দেয়।
রোববার বাদীপক্ষের আইনজীবী আল মামুন বলেন, “আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন, যা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। এ রায়ের ফলে ভুক্তভোগীদের মধ্যে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচারের অনুভূতি ফিরে আসবে।”
এটি নিয়ে এ পর্যন্ত চারটি মামলায় এই দম্পতির মোট নয় বছর কারাদণ্ড হলো।
এর আগে ২০২৪ সালের ২ জুন চেক প্রতারণার এক মামলায় রাসেল ও শামীমাকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয় চট্টগ্রামের একটি আদালত।
এরপর এ বছরের ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার এক মামলায় দুজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
আর সবশেষ গত ৬ এপ্রিল প্রতারণার আরেক মামলায় তাদের তিন বছরের সাজা হয়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা করা অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ইলেকট্রনিকসহ নানা পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে। তাদের চটকদার অফারের ‘প্রলোভনে’ অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেও মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি; ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া টাকাও ফেরত দেয়নি।
এক পর্যায়ে ক্রেতা ও পণ্য সরবরাহকারীদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইভ্যালিসহ আরও বেশ কিছু ই কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভে নামে গ্রাহকরা।
সে সময় রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েকশ মামলা হয়; এ মামলা তারই একটি।
রোববার যে মামলায় তাদের সাজা হয় সেটি ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল আদালতে দায়ের করেছিলেন মো. রাজিব নামের এক ভুক্তভোগী।
তার অভিযোগ, ইভ্যালির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েন। আসামিরা প্রতারণা করে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করে।