আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে গত ৪ অগাস্ট এনবিআরের আবেদনে এই রায় দেয় উচ্চ আদালত।
Published : 03 Oct 2024, 11:21 PM
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি করা ৬৬৬ কোটি টাকা কর প্রদানের রায় প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাই কোর্ট; মামলার নথি পাঠানো হয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে।
বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রত্যাহার করে।
বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করার প্রক্রিয়ায় ছিলাম। হাই কোর্টের রায়ের কপি না পাওয়ায় করতে পারিনি। এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত। বিষয়টি আমাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।”
গত ৪ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাওনা ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। এতে ৬৬৬ কোটি টাকা সরকারকে পরিশোধ করতে হত গ্রামীণ কল্যাণকে বলে তখন জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
আদালতের বেঞ্চ থেকে জানা গেছে, এ রায় লিখতে গিয়ে কনিষ্ঠ বিচারপতি দেখেন, এক সময় তিনি মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানি করেছিলেন। কাজেই এ রায় তিনি দিতে পারেন না।
রায় প্রত্যাহারের পর এ মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
৪ অগাস্ট রায়ের পর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৬-১৭ সাত করবর্ষে গ্রামীণ কল্যাণের আয়কর দ্বিতীয় মূল্যায়ন করা হয়। নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় মূল্যায়নের বিরুদ্ধে আপিল ও রিভিউ আবেদন করা যায়। তবে রিভিউ করা হলে আপিল করা হবে না মর্মে অঙ্গীকার করতে হয়।
“এখানে গ্রামীণ কল্যাণ আপিল না করে রিভিউ করে এবং সেই রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর রিভিউ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে দুটি রিট করা হয়। শুনানি শেষে হাই কোর্ট রিভিউ খারিজের আদেশ বাতিল করে রায় দেন এবং আপিল করতে বলেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন কর।
“আপিল বিভাগ বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি করে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে বলেন।”
এরপরই বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে ওই রায় আসে।
আরও পড়ুন
ইউনূসের ৬৬৬ কোটি টাকা কর চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ