নারী আসন বণ্টন পদ্ধতিতেও সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
Published : 29 Jan 2024, 04:26 PM
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল–২০২৩’ পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। তার আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধন প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের জামানত হবে ২০ হাজার টাকা। বিদ্যমান আইনে সংরক্ষিত আসন শূন্য হলে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আছে। সেখানেও সংশোধনী আনা হচ্ছে। বিলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া নারী আসন বণ্টন পদ্ধতিতেও সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের ৩০০ সাধারণ আসনে সরাসরি ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন হয়, এসব আসনের ক্ষেত্রেও জামানত ২০ হাজার টাকা।
সুশীল সমাজের চোখ সুদূর পশ্চিমে: আইনমন্ত্রী
বিল বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “কিছু মানুষ যারা নিজেদের সুশীল সমাজ বলে মনে করে, তারা নিজেদের জনগণের গার্ডিয়ান মনে করে। নানা ডিকটেশন দেন। দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিমে তাকান না। তারা তাকান সুদূর পশ্চিমে। সেখান থেকে যে বাণী আসে সেভাবে তারা এখানে ছবক দেওয়ার চেষ্টা করেন।”
তিনি বলেন, “বাংলদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। এদেশের জনগণই নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করবে সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব কারা করবে।”
এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলা ফরাজী দেশের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত দেওয়া সুশীল সমাজের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “আমাদের ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন দরকার। সেজন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান আছে। বাংলাদেশের নির্বাচন সঠিক হচ্ছে। ভালোভাবে হবে।
“আমরা চাই ফ্রি, ফেয়ার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে। নিরাপত্তা পাবে। প্রধানমন্ত্রী এটা চান। দেশবাসী চান। বিশ্ববাসীও এটা চায়। এর বাইরে আর কিছু হবে না। এটা সবাইকে মানতে হবে। কেউ যদি সিট না পায় জোর করে সিট দেওয়া যায় না।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)