বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি আছেন পি কে হালদার।
Published : 24 Aug 2022, 11:29 AM
অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে থাকা অবস্থায় ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগীকে ‘দেশ ছেড়ে পালানোর সময়’ গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার এ বাহিনীর এক ক্ষুদে বার্তায় তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। তবে কখন, কোথায় কীভাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হল, সে বিষয়ে সেখানে কিছু বলা হয়নি।
বুধবার কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
পি কে হালদারের আরেক ‘ঘনিষ্ঠ’ সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গত বছর রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে তার কয়েক ডজন সহযোগী এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পি কে হালদারের বিষয়ে জানতে ভারতকে বাংলাদেশের চিঠি
পি কে হালদারের অর্থ লোপাটের ঘটনায় ‘হতভম্ব’ তার শিক্ষক
পি কে হালদারকে এখনই পাওয়া যাবে না, ধারণা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রশান্ত কুমার হালদার বেসরকারি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার দুনীতির খবর আসে ২০২০ সালের শুরুতে। এরপর দুদক তদন্তে নেমে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের ৩৪টি মামলা করে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এই চার কোম্পানি হল- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব কোম্পানি থেকে পি কে হালদার ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।
এর মধ্যে আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে গত বছরের শুরুতে পি কে হালদারের বিদেশ পালানোর পর দুদক তার ২৭৫ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদের’ খবর দিয়ে মামলা করে। দুদক এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিলও করেছে।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, পি কে হালদার তার নিজের, আত্মীয়দের, বন্ধু ও কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে আটটি কোম্পানিতে ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৯ টাকা বিনিয়োগ করেছেন, যার ‘বৈধ কোনো উৎস’ অনুসন্ধানে মেলেনি।
পি কে হালদার কানাডায় পালিয়েছিলেন বলে গুঞ্জন ছড়ালেও চলতি বছরের মে মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তার এবং সহযোগীদের সম্পদের খোঁজে অভিযানে নামে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
পি কে হালদারের ‘৬২ সহযোগীর’ খোঁজ পেয়েছে দুদক
পি কে হালদারের ‘সহযোগী’ অবন্তিকা দুদকের রিমান্ডে
অর্থপাচার: পলাতক পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের রেড নোটিস
পি কে হালদারের সাত ‘সহযোগী’কে দুদকে তলব
পি কে হালদারের মাসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সে সময় পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা, প্রীতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার এবং তাদের সহযোগীদের নামে থাকা বাড়ি ও সম্পত্তিতে আভিযান চালায় ইডি।এদের সবাইকে বাংলাদেশের নাগরিক বলেও উল্লেখ করা করে ইডি।
এর পর গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার থেকে পাঁচ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন পি কে হালদার।।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পি কে হালদারকে দুদফা রিমান্ডে নেয়। বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি আছেন পি কে হালদার।