ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় মিরপুর টাউন হল ২০০৩ সালে বিএনপি ও জামায়াত সরকারের আমলে ভেঙে ফেলা হয়।
Published : 01 Oct 2022, 08:13 PM
মিরপুরে ভেঙে ফেলা টাউন হলের স্থানে আধুনিক নাট্যমঞ্চ করার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরাম।
শনিবার মিরপুর ১০ নম্বরে টাউন হলের মুক্তবেদীতে গান, আবৃত্তি ও নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে নাট্যমঞ্চ নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম শাহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "মিরপুরে একটি আধুনিক নাট্যমঞ্চ নির্মাণ করা আমাদের প্রাণের দাবি, যেখানে থাকবে নাটক, সংগীত, নৃত্য, চিত্রকলা আবৃত্তিসহ শিল্পের সব শাখার আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মঞ্চ, গ্যালারি, পাঠাগার।"
দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান সংস্কৃতিকর্মীরা।
১৯৭৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মিরপুর ১০ নম্বরে একটি টাউন হল ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ২০০৩ সালে বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের আমলে হলটি ভেঙে ফেলা হয়। ২০১৩ সালে সাংস্কৃতিক কর্মীরা নিজস্ব উদ্যোগে টাউন হলের শূন্যস্থানে একটি মুক্তমঞ্চ তৈরি করলেও বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি রাখায় জায়গাটি সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন থেকে আধুনিক নাট্যমঞ্চ তৈরির আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
আধুনিক নাট্যমঞ্চের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করছেন মিরপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে শনিবার প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় গণসঙ্গীত, ছড়া-কবিতা, পথনাটক পরিবেশিত হয়।
পথানটক পরিবেশন করে মেঘদূত নাট্য সম্প্রদায়। তারা পরিবেশন করে নাটক মানুষ। ড. বাবুল বিশ্বাস রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তোসাদ্দেক হোসাইন মান্না।
মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে মুক্তমঞ্চে সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারার নেতারা বক্তব্য দেন। আলোচনায় অংশ নেন সিদ্দিকুর রহমান, আশিকুর রহমান ভুলু, মঙ্গল চন্দ্র, সগীর মোস্তফা, মনজুর আলম সিদ্দিকী ও মোঃ সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহীন।