সরকারিগুলোতে বিপুল আবেদন জমা পড়লেও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদনে তেমন সাড়া মেলেনি।
Published : 30 Nov 2024, 09:02 PM
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৫টায় আবেদনের সময় শেষ হয়ে যায়। এতে দেখা গেছে, সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বিপুল আবেদন জমা পড়লেও বেসরকারিতে তেমন সাড়া মেলেনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বিকাল ৪টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলেন, সারাদেশে ৬৮০টি সরকারি স্কুলের শূন্য আসনের বিপরীতে প্রায় ৬ গুণ আবেদন এসেছে। তবে বেসরকারিতে ৬৬ শতাংশ আসনেই আবেদন জমা পড়েনি।
তিনি বলেন, সরকারি স্কুলগুলোতে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৪ জন।
একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল চয়েস দিতে পেরেছেন। এই হিসাবে তারা মোট চয়েস দিয়েছেন ৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৩১টি স্কুল।
অপরদিকে মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের বেসরকারি ৩ হাজার ১৯৮টি স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ৩৪ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব আজিজ জানান, শনিবার বিকাল ৪টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত বেসরকারিতে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তারা মোট ৬ লাখ ১৩ হাজার ৭টি স্কুল চয়েস দিয়েছেন।
শেষ সময়ের পর নতুন করে সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি এবং মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের বেসরকারি মোট ৩ হাজার ৮৭৮টি স্কুলের ১১ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৯টি শূন্য আসনে ভর্তির জন্য গত ১২ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়, যা চলে চলে শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আগামী ১২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের স্কুল নির্ধারণ হবে।
১১০ টাকা ফি দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি আবেদনে শিক্ষার্থীরা পাঁচটি স্কুল চয়েস দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়।
প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি হওয়ার শর্ত ছিল। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স পাঁচ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ বয়স সাত বছর হলেও আবেদন করা গেছে।
পুরনো খবর-