“বিচার ও কারা সংস্কারের ক্ষেত্রে অষ্টম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা করা হলে তা বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
Published : 13 Apr 2023, 10:07 PM
কারাবন্দিদের জন্য আইনি সহায়তা ও তাদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যুগপোযোগী সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার।
বৃহস্পতিবার কারা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিচার ও কারা সংস্কারের ক্ষেত্রে অষ্টম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা করা হলে তা বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
বন্দিদের জন্য আইনি সহায়তা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আধুনিক ও টেকসই সমাধান গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করায় বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ দেন রাষ্ট্রদূত।
কারা কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ কারা অধিদপ্তর এবং জিআইজেড বাংলাদেশের ‘রুল অব ল প্রোগ্রাম’ এর যৌথ আয়োজনে ‘কারা সংস্কারের ১৫ বছর স্মরণ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রুল অব ল’প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নে কারা অধিদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জিআইজেড।
অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক বলেন, ‘কারাগার হবে সংশোধনাগার’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কারা অধিদপ্তর বদ্ধপরিকর।
“এ লক্ষ্য অর্জনে কারাবন্দিদের অপরাধ প্রবণতা থেকে মুক্ত করে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কারা অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।”
তিনি বলেন, বন্দিদের আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তরের লক্ষ্যে, বিশেষত ‘প্যারালিগ্যাল অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের’ ক্ষেত্রে সরকারি অর্থায়নে একটি প্রকল্পের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শুরু হবে।
জিআইজেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আন্দ্রিয়াস কুকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ হুমায়ুন কবির, ব্রিটিশ সরকারের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের গর্ভনেন্স ও পলিটিক্যাল টিমের প্রধান টম বার্জ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, আইনজীবী, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।