“পানির উৎস যাতে ক্ষয়িষ্ণু না হয় অর্থাৎ পানি শুকিয়ে না যায়, পানি অনিরাপদ না হয়, পানি দূষিত না হয়- সেগুলোকে সংরক্ষিত করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,” বলেন আইনজীবী পল্লব।
Published : 27 Feb 2025, 03:49 PM
নিরাপদ খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানিকে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করে হাই কোর্ট রায় দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের বেঞ্চ এই রায় দেয়।
হাই কোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ ২০২০ সালে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছিল। পরে আদালতকে সহায়তা করতে কয়েকজন আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মনজিল মোরসেদ, মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং মানবাধিকার সংগঠন বেলার তরফে মিনহাজুল ইসলাম আইনজীবী হিসেবে এ সহায়তা দেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানি নিশ্চিত করতে ২০২০ সালে সুয়েমটো রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। সেখানে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানযোগ্য পানি সরবরাহ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব কি না, অথবা এই নিরাপদ পানি পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
“উক্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।
রায় আদালত স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানযোগ্য পানি পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার এবং এই পানির অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
নিরাপদ পানযোগ্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আদালত কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে বলেও জানান আইনজীবী পল্লব। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
“বাংলাদেশের যত পানির উৎস রয়েছে, এই পানির উৎস যাতে ক্ষয়িষ্ণু না হয় অর্থাৎ পানি শুকিয়ে না যায়, পানি অনিরাপদ না হয়, পানি দূষিত না হয়- সেগুলোকে সংরক্ষিত করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের কেবল ৫৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পান বলে পিপিআরসি ও ওয়াটার এইডের এক গবেষণা প্রতিবেদন জানিয়েছিল।