এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম ১০০ জন হজযাত্রীর কোটা ঠিক করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গেল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছিল হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
Published : 07 Jan 2025, 12:08 AM
এবারের হজ মৌসুমে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা কমানোর দাবি উঠলেও তা এক হাজারেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশি হজ এজেন্সির জন্য এই কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গেল ৯ ডিসেম্বর সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এ তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়।
হজযাত্রীদের ‘সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি এজেন্সি বাঁচিয়ে’ রাখতে ন্যূনতম ১০০ জন হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণের দাবিতে গেল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
তাদের দাবি, একই এজেন্সির মাধ্যমে বেশি সংখ্যক হজযাত্রী পাঠালে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না, বরং হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন দুটি আধা-সরকারি পত্র পাঠান। এতে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা প্রথমে ২৫০ জন ও পরে ৫০০ জন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
“কিন্তু সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কমিটির কাছ হতে হজযাত্রীর কোটা কমানোর বিষয়ে সম্মতি মেলেনি।”
২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ করার সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব; প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় শেষ হলেও সেই কোটা পূরণ হয়নি।
খরচা বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালেও প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি, হজে গিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এবার প্রাথমিক নিবন্ধনই সেরেছেন ৮৩ হাজার ৫২৭ জন, যা চূড়ান্ত নিবন্ধনে আরও কমতে পারে। তার মানে এবার হজযাত্রী কমছে অন্তত ১ হাজার ৭৩০ জন।
পুরনো খবর