র্যাম্পটি হাতিরঝিল, পান্থকুঞ্জ পার্ক, কাঁঠালবাগান, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের পরিবহনসহ সামগ্রিক পরিবেশকে সংকটে ফেলবে বলে মনে করে নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠনটি।
Published : 14 Jan 2025, 08:42 PM
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (র্যাম্প) নির্মাণের উদ্যোগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, র্যাম্পটি হাতিরঝিল, পান্থকুঞ্জ পার্ক, কাঁঠালবাগান, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের পরিবহনসহ সামগ্রিক পরিবেশকে সংকটে ফেলবে।
আইপিডি পরিচালক আদিল মুহাম্মদ খান ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের স্বাক্ষরে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, মেগাপ্রকল্পের বিনিয়োগ ফেরত আনা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দিতে সংযোগ সড়কটির প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু এটি অতি ব্যস্ত সড়কের উপযোগিতা নষ্ট করবে। র্যাম্প ওঠানামার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন মোড়ে যানজটও বেড়ে যাবে।
আইপিডি বলছে, বিগত সরকারের সময়ে পরিবেশগত, পরিকল্পনাগত প্রভাব বিশ্লেষণ এবং জনগণের মতামত ছাড়াই যেসব মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর অন্যতম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রকল্পের শুরুর প্রস্তাবে এই সংযোগ সড়ক ছিল না।
বিবৃতিতে বলা হয়, “অন্তর্বর্তী সরকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়ক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, এটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু এটি বাতিলে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন এক মাসের বেশি সময়ে ধরে আন্দোলন করলেও সরকার নীরব রয়েছে।”
আইপিডি বলছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস প্রকল্পের জন্য হাতিরঝিল এলাকায় জলাধার ভরাট এবং পান্থকুঞ্জ উদ্যানের এক হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে। হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ এলাকায় প্রস্তাবিত শতাধিক পিলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জলাধারের পানিপ্রবাহ ও সার্বিক উপযোগিতা ধ্বংস করবে।
সংযোগ সড়ক প্রকল্পটি এরই মধ্যে পার্ক, উদ্যান ও জলাধার সংরক্ষণ আইন এবং পরিবেশসংক্রান্ত আইনের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিকল্পনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।
আইপিডি বলছে, অনেক উন্নত দেশ ব্যক্তিগত গাড়িকে প্রাধান্য দিয়ে ফ্লাইওভারকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে। অথচ বাংলাদেশে এখন ফ্লাইওভারকেন্দ্রিক সমাধানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করে। সংযোগ সড়কটি দ্রুত বাতিল করা প্রয়োজন বলে মনে করে আইপিডি।