“এ মুহূর্তে অনেক শিক্ষকের প্রয়োজন, কিন্তু পদ তৈরি হচ্ছে না, পদোন্নতি হচ্ছে না।”
Published : 21 Oct 2023, 01:15 PM
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে তিন দিন ‘সর্বাত্মক’ কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সোমবার কর্মস্থলে না গিয়ে দুপুরে ঢাকয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানার থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আহবানে দেশের সব সরকারি কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সরকারি মাদ্রাসা, আলিয়া মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ড, নায়েম, এনসিটিবিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে এদিন কর্মবিরতি পালন করা হয়।
সমিতির যুগ্ম মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার জানান, তাদের দাবি আদায় না হলে ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবরও সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস অমান্য করে সেখানে নিয়োগবিধি জারি করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও আলিয়া মাদ্রাসায়ও একই কাজ করা হয়েছে। সুকৌশলে ক্যাডারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সালে যখন পে-স্কেল হয়, তখন শিক্ষা ক্যাডারের পদগুলো অবনমন হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দশনা দিলেও সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি। এতে আমাদের সকল অধ্যাপক পদ চতুর্থ গ্রেডে রয়েছে। এতে একজন মাধ্যমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও মাউশির ডিজি একই স্কেলে রয়েছে।”
বিপুল সরকার বলেন, “পাশাপাশি শিক্ষায় অনেক পরিবর্তন আসছে। নতুন শিক্ষাক্রম এসেছে। অনেক কোর্স ও বিষয় এসেছে। এ মুহূর্তে অনেক শিক্ষকের প্রয়োজন, কিন্তু পদ তৈরি হচ্ছে না, পদোন্নতি হচ্ছে না। এসব নানা বিষয় নিয়ে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমাদের কর্মবিরতি।”
(প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)