চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড: রিমান্ড শেষে রেস্তোরাঁ মালিক কারাগারে

আসামি ফখর উদ্দিন জামিন চাইলেও বিচারক তা নাকচ করে দিয়েছেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 11:58 AM
Updated : 18 August 2022, 11:58 AM

ঢাকার চকবাজারের কামালবাগের দেবীদাস ঘাট এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৬ রেস্তোরাঁকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বরিশাল হোটেলের মালিক ফখর উদ্দিনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই রাজীব কুমার সরকার এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামির জামিন চেয়ে আইনজীবী সোহানা আক্তার বলেন, “রেস্তোরাঁটি যে বাড়িতে ছিল, তার মালিক ফখর উদ্দিন নন। এটি খাবারের হোটেল, প্লাস্টিকের দোকান নয়। রেস্তোরাঁটি বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তাছাড়া মামলার দুই ধারাই জামিনযোগ্য। ”

এ সময় এই আইনজীবী এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেন।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

১৫ অগাস্ট বেলা ১২টার দিকে চকবাজারের কামালবাগে দেবী দাস ঘাট এলাকার চারতলা ওই ভবনে আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট সোয়া দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

Also Read: চকবাজারের রেস্তোরাঁ মালিক ১ দিনের রিমান্ডে

Also Read: চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড: বরিশাল রেস্টুরেন্টের মালিক গ্রেপ্তার, মামলা

Also Read: চকবাজারে পুড়ল প্লাস্টিকের কারখানা

আগুন নেভার পর ছয়জনের লাশ পাওয়া যায় ভবনের নিচতলার বরিশাল হোটেলের ছাদের নিচে কাঠ দিয়ে বানানো মাচায়। রাতের পালায় কাজ করে কর্মীরা দিনের বেলা সেখানে ঘুমাতেন।

এ ঘটনায় নিহত রুবেলের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা করেন। মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার শুভ্যাডা এলাকার জিয়ানগর থেকে ফখর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, তিন তলা ভবনের ওপর সেখানে টিন দিয়ে আরেকটি তলা বানানো হয়েছে।

পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি ওই এলাকায় সরু গলির মধ্যেই সারি সারি প্লাস্টিকের কারখানা ও প্লাস্টিক পণ্যের গুদাম। যে ভবনটি আগুনে পুড়েছে, সেটির তৃতীয় তলাতেও প্লাস্টিকের গুদাম ও কারখানা ছিল।

চতুর্থ তলায় প্লাস্টিকের খেলনার গুদাম আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়া পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলাও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কারখানাগুলোতে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ হয়। তাই রেস্তোরাঁটিও রাত-দিন খোলা থাকে।