চকবাজারের কামালবাগের দেবী দাস ঘাট এলাকায় এক ভবনে আগুন লেগে ছয় রেস্তোরাঁকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার ইলিয়াছ হোসেন জানান, ওই ভবনের নিচতলার বরিশাল রেস্টুরেন্টের মালিক ফখরউদ্দীনকে মঙ্গলবার সকালে চকবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় চকবাজার থানায় একটি মামলা হয়েছে জানিয়ে এসআই ফারুখ খান বলেন, “মামলায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।”
সোমবার বেলা ১২টার দিকে চকবাজারের কামালবাগে দেবী দাস ঘাট এলাকার চারতলা ওই ভবনে আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট সোয়া দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নেভার পর লাশগুলো পাওয়া যায় ভবনের নিচতলায় ‘বরিশাল রেস্টুরেন্টের’ ছাদের নিচে কাঠ দিয়ে বানানো মাচায়। রাতের পালায় কাজ করে কর্মীরা দিনের বেলা সেখানে ঘুমাতেন বলে চকবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম জানিয়েছেন।
রোবাবর রাতের পালায় কাজ করা আটজন কর্মী সোমবার ওই মাচায় ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয়জনের লাশ পাওয়া যায়। উদ্ধারের পর রোস্তরাঁকর্মীদের মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।
অগ্নিকাণ্ডে বিল্লাল, ওসমান, শরীফ এবং স্বপনসহ রেস্তোরাঁর আরও দুই কর্মীর সন্ধানে সোমবার ঘটনাস্থলে যান তাদের স্বজনরা। তাদেরকেও ঘটনাস্থলে লাশ না দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মিটফোর্ড হাসপাতালে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, তিন তলা ভবনের ওপর সেখানে টিন দিয়ে আরেকটি তলা বানানো হয়েছে।
পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি ওই এলাকায় সরু গলির মধ্যেই সারি সারি প্লাস্টিকের কারখানা ও প্লাস্টিক পণ্যের গুদাম। যে ভবনটি আগুনে পুড়েছে, সেটির তৃতীয় তলাতেও প্লাস্টিকের গুদাম ও কারখানা ছিল।
চতুর্থ তলায় প্লাস্টিকের খেলনার গুদাম আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়া পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলাও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কারখানাগুলোতে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ হয়। তাই রেস্তোরাঁটিও রাত-দিন খোলা থাকে।