“এর আগে কোনো বাংলাদেশির দুবার দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার নজির নেই।”
Published : 11 Mar 2025, 09:48 PM
আলোচনায় থাকলেও স্বাধীনতা পুরস্কারের চূড়ান্ত তালিকা থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর নাম বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় সরকার বলেছে, তিনি আগেই এ সম্মাননা পেয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, এম এ জি ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পান। অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিল।
“তবে কোনো বাংলাদেশির দুবার দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার নজির না থাকায় পরে সে আলোচনা বাদ দেওয়া হয়।”
এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (কবি আল মাহমুদ), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান (ব্যান্ড তারকা আজম খান) এবং শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন উমর।
এর বাইরে এবার ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ নামে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে।
তালিকার সাতজনের মধ্যে ছয়জনই এ সম্মাননা পাচ্ছেন মরনোত্তর।
কেবল শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে বদরুদ্দীন উমর জীবদ্দশায় এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন, যিনি আগেই এক বিবৃতির মাধ্যমে পুরস্কার গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।