বুধবার সিলেট থেকে হেলিকপ্টার যোগে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
Published : 18 Sep 2024, 12:08 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ঢাকায় ছয় হত্যার মামলায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বাড্ডা থানার চারটি এবং আদাবর ও লালবাগ থানার একটি করে মামলা আছে।
এ বিষয়ে পুলিশের আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি নিয়ে তা মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম জাকী আল ফারাবী।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আসামিকে কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই ছয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন আগে করা হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে ঢাকায় আনা সম্ভব না হওয়ায় বুধবার আবেদনগুলোর শুনানি হয়।
গত ২৩ অগাস্ট সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
তার দুই দিন পর ২৫ অগাস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বাড্ডা থানার তিনটি হত্যা মামলায় এবং আদাবর ও লালবাগ থানার একটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
এছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানার আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
মামলার মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বাড্ডার প্রগতি সরণিতে হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলা, বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন শিকদার হত্যা, সোহাগ মিয়া হত্যা মামলা, আদাবর থানার পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলা, লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলা ও বাড্ডার প্রগতি সরণিতে তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া হত্যা মামলা।
এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা হলেন- বাড্ডা থানার এসআই আবু জাফর হাওলাদার, আ. হক আব্বাছি ও রেজাউল আলম এবং আদাবর থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক, লালবাগ থানার এসআই আক্কাস মিয়া ও বাড্ডা থানার এসআই সৌমিত্র সাহা।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার মামলায় মঙ্গলবার সিলেটে জামিন পান বিচারপতি মানিক। তবে ঢাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় ওই দিন বিকালে হেলিকপ্টার যোগে তাকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে আনা হয়।