টানা তিনটি শুনানিতে কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করার আবেদন জানান।
Published : 08 Sep 2024, 05:20 PM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে ১৭ বছর আগের নাইকো দুর্নীতি মামলায়, তদন্ত কর্মকর্তাসহ সব সাক্ষীকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সৈয়দ মো, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এদিন শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা হাজিরা দেন।
শুনানিতে আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন করা হয়।
এর আগেও গত তিনটি শুনানিতে কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করার আবেদন জানান।
তারা বলেন, এভাবে সাক্ষী হাজির না করে হয়রানি করা হচ্ছে; সুতরাং, মামলায় সাক্ষ্য সমাপ্ত করে দ্রুত রায় দেওয়া হোক।
এই আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের সব সাক্ষীকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
এ মামলার কার্যক্রম ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হচ্ছে।
মামলায় ইতোমধ্যে সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মামলার বাদী এবং কানাডার পুলিশ সদস্য লয়েড স্কোয়েপ ও কেভিন ডুগান। সর্বশেষ সাক্ষ্য দিয়েছেন বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আব্দুল বাকী।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, তাতে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
এরপর গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন-সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এদের মধ্যে তিন জন পলাতক।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।