“সংবাদকর্মীদের অনেকেই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারাই কাজ করুন না কেন, গণহত্যাকে যারাই উসকানি দিয়ে থাকুক না কেন, তাদের বিচার হবে”, বলেন তিনি।
Published : 24 Sep 2024, 12:17 AM
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তার সরকার সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা চায়, তবে অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য রেখে ও মানদণ্ড রেখে এই স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চান।
সোমবার রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে এক মত বিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই আলোচনায় সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা যোগ দেন।
নাহিদ বলেন, "আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই, অবশ্যই। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে যেতে চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সীমা কতটুকু?
“আমরা জানি, স্বাধীনতা মানে স্বাধীনতাই। এখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ চলে না। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বা স্বাধীনতার মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের প্রচার করা যাবে কি না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে ফ্যাসিস্টদের পারপাস সার্ভ (উদ্দেশ্য সাধন) করা যাবে কি না। সেই বিষয়টি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।”
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সংবাদপত্রের একটি ‘ভালো ভূমিকা’ ছিল মন্তব্য করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “ একটা সময় সারা দেশের মানুষ সংবাদপত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল। কারণ, কিছুটা তথ্য পেলে পত্রিকাতেই পাওয়া যায়। তখন দেখা গেছে, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম একেবারেই কুক্ষিগত, সেই সময়ে সংবাদপত্রই ছিল একমাত্র ভরসা।"
যেসব সংবাদকর্মী আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন, তাদেরকে ‘ফ্যাসিবাদের’ সহযোগী উল্লেখ করে বিচারের ঘোষণাও দেন নাহিদ।
তিনি বলেন, “সংবাদকর্মীদের অনেকেই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। ফ্যাসিবাদের পক্ষে তারা কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারাই কাজ করুন না কেন, গণহত্যাকে যারাই উসকানি দিয়ে থাকুক না কেন, তাদের বিচার হবে।
“সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, এটা বিবেচনায় নেওয়া হবে না। আবার একই সঙ্গে কোনো সাংবাদিক বা যে কেউ, তার সঙ্গে যদি অবিচার করা হয়, সেই বিষয়টিও দেখা হবে। কাউকে যদি এমন মামলা দেওয়া হয়, যে মামলায় আসলে অভিযুক্ত হওয়ার মত নয়, সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। "