গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে ড. ইউনূস বলেন. “মামলাটি মিথ্যা, এ ব্যাপারে আমি শঙ্কিত নই।"
Published : 05 Oct 2023, 03:20 PM
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মাহবুব হোসেন।
তিনি আরও বলেছেন, তারা কারও নাম দেখে কাজ করেন না, তাই তদন্তে প্রভাবিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুদক সচিব।
ড. ইউনূস যে মামলায় জিজ্ঞাসাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেটি হয়েছে তার আরেক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চলতি বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। এতে কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে ইউনূস ছাড়াও আসামি হয়েছেন আরও ১২ জন।
এই ১৩ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। ইউনূস আসার আগের দিন বক্তব্য দিয়ে যান গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। সব মিলিয়ে সাত জনের বক্তব্য জেনেছে সংস্থাটি।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন ইউনূস। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যান বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে।
যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মামলাটি মিথ্যা, এ ব্যাপারে আমি শঙ্কিত নই।"
তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, “কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দেশীয় আন্তর্জাতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এই ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে। দুদকে আমরা বলেছি, যে মামলা করা হয়েছে, তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।"
পরে দুদক সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “কলকারখানা অধিদপ্তরে গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিষয়টি দুদকে পাঠানো হয়। অভিযোগগুলো যাচাই করে তা দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় মামলা হয়। বর্তমানে তদন্ত চলছে।”
ইউনূসের ব্যক্তি পরিচয়ের কারণে তদন্ত প্রভাবিত হবে কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দুদক কারো ব্যক্তিগত পরিচয় দেখে না বলে প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ নেই।”
বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নে দুদক সচিব বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আত্মগোপন করতে পারেন কিংবা আলামত নষ্ট করতে পারেন অথবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে তার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।”