কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় এক কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারীরা।
Published : 04 Aug 2024, 07:01 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ পুলিশ সদস্য হত্যার শিকার হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, এর বাইরে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় ঢুকে এক পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারীরা।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক বলেন, “আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা থানায় আগুন দেয় এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যা করে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারী থানার দক্ষিণে জমায়েত হয়। সেখানে ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন ছিলেন।
জমায়েত থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা থানার দিকে যান। থানার সামনে আসার পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাখানেক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোঁড়ে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা থানার ভেতরে ঢুকে পড়ে আগুন দেয়। এরপর পুলিশ সদস্যদের ধরে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও তিন ছাত্রের লাশ
এদিকে থানায় হামলার ঘটনায় আরও তিন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তারা হলেন- এনায়েতপুর থানার বেতিল গ্রামের কলেজছাত্র শিহাব ও সিয়াম এবং খুকনি গ্রামের মো. ইয়াহিয়া।
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৌশিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “থানায় হামলার ঘটনায় তিন ছাত্র ও পুলিশের এসআই তহসেন আলীকে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। চারজনই মারা গেছেন।”
এ ছাড়া আরও দুই পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান কৌশিক।