করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার দায়ে দণ্ডিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের ডা. সাবরিনা চৌধুরী কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এর আদালতে তিনি এ আবেদন করেন।
পরে বিচারক কাশিমপুর কারাগারে থাকা সাবরিনাকে আগামী ২২ নভেম্বর আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
এ বছরের ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার দায়ে তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। ওই মামলায় তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই মামলায় সাবরিনা এখন কারাবাস করছেন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলার শুনানির দিনে সাবরিনার পক্ষে তার আইনজীবী প্রণব কান্তি কারাগারে মর্যাদা চেয়ে আবেদন করেন। তিনি আসামির উপস্থিতিতে শুনানি করারও আবেদন করেন।
পরে নির্ধারিত শুনানিতে সাবরিনাকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতী পরোয়ানা) জারি করেছে আদালত।
২০২০ সালের ৩০ অগাস্ট জেকেজির কর্মকর্তা সাবরিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন এ মামলা করেন।
এতে অভিযোগ করা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে।
“সাবরিনা ২০১৬ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পেয়েছিলেন সাবরিনা।
আরও পড়ুন