রোববার রংপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Published : 28 Jul 2024, 09:54 PM
মধ্য শ্রাবণেও দেশের ১৫ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ, তবে তা শিগগিরই কমবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ রোববার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে তাপমাত্রা কমে আসবে বলে তারা আশা করছেন।
“৩০ তারিখ থেকে তাপমাত্রা কমবে। দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার দিকে যাবে, তবে পরের দিন থেকে বেশি বৃষ্টি হবে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে রোববারও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সোমবার কিছু কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে।
এদিন রংপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে পটুয়াখালীতে। এ ছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৭, সাতক্ষীরায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত।