২০১৩ সালের কাজের জন্য তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
Published : 07 Mar 2024, 06:47 PM
র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বীরত্ব ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিতে এ বাহিনীর ১২০ জন সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
এর মধ্যে সাহসিকতা-বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ৪৩ জনকে এবং সেবামূলক-প্রশংসনীয় কাজের জন্য ৭৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ব্যাজ পরিয়ে দেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরের দরবার হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনের দ্বিতীয় দিন তাদের ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয় বলে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
র্যাব মহাপরিচালক এ বাহিনীর সদস্যদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, র্যাবের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে সকল সদস্যের দায়িত্ব রয়েছে।
ব্যাজ পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত ৩৩ র্যাব সদস্যের পরিবারের হাতে সম্মাননা ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন মহাপরিচালক খুরশীদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জঙ্গি, অস্ত্র, মাদক, অভিযানিক কার্যক্রম, যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণসহ মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে যে সকল ব্যাটালিয়ন ভালো কাজ করেছে, তাদেরও বিশেষ পুরস্কৃত করা হয় অনুষ্ঠানে।
জঙ্গিবিরোধী অভিযানে র্যাব-৬ প্রথম; অভিযানিক, মাদক এবং অস্ত্র উদ্ধারে র্যাব-১৫ প্রথম হয়েছে। যানবাহন রক্ষা ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে র্যাব-৯। ২০১৩ সালের কার্যক্রম অনুযায়ী তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্ট গার্ড এবং পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ২০০৪ সালে গঠন করা হয় র্যাব।
প্রথমে জঙ্গি দমনে র্যাব গঠন করা হলেও পরে সন্ত্রাস দমনসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মত কাজ করছে র্যাব।
এর আগে বুধবার র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।