দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিদেশে অবস্থানরত মেয়ে দেশে ফেরার পর।
Published : 20 Dec 2024, 10:30 PM
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের জানাজায় অংশ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার এশার নামাজের পর ধানমন্ডি ‘সাত মসজিদে’ এ জানাজায় সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা ছাড়াও অংশ নেন আইনজীবী, স্বজনরাও।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বলা হয়, শনিবার সকাল ১১টায় হাই কোর্ট চত্বরে প্রবীণ এই আইনজীবীর আরেক দফা জানাজা হবে। তবে তাকে কোথায় সমাহিত করা হবে, সে সিদ্ধান্ত হবে বিদেশে থাকা মেয়ে দেশে ফেরার পর।
হাসান আরিফের মেয়ের দেশে ফেরার কথা রোববার।
তীব্র গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে মন্ত্রী মর্যাদায় ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এ এফ হাসান আরিফ।
তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে।
১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় হাসান আরিফের জন্ম। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি করেন।
১৯৬৭ সালে কলকাতা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তিনি সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের সময়ে ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন হাসান আরিফ।
২০০৭ থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। আদালতে নানা সময় মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আরিফ।
শুক্রবার দুপুরে বাসায় খেতে বসে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।