বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়।
Published : 18 Sep 2024, 01:22 AM
শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব বলে এক সভায় মত দিয়েছেন বক্তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিএমএ ভবনের সামনে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মা আয়োজিত এক সভায় তারা এমন মত দেন।
সভায় ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে কর বাড়ানোর মাধ্যমে তামাক পণ্যের মূল্য বাড়ানোর বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি।
“বাংলাদেশে তামাককর কাঠামো ত্রুটিপূর্ণ এবং তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য। ফলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহারে বিশেষভাবে উৎসাহিত হচ্ছে, তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়।
সভায় প্রজ্ঞার পক্ষে হাসান শারিয়ার এক উপস্থাপনায় ‘টোব্যাকোনমিকস সিগারেট ট্যাক্স স্কোর কার্ডের’ তথ্য উদ্ধৃত করে বলেন, “দাম, সহজলভ্যতা, করকাঠামো এবং খুচরা মূল্যে করের অংশ-এই চার বিষয় বা ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে সিগারেট ট্যাক্স স্কোর কার্ড তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৫ এর মধ্যে মাত্র ১.১৩, যা আগে ছিল ২.৩৮। চারটি ফ্যাক্টরেই খারাপ করেছে বাংলাদেশ তবে সহজলভ্যতায় শূন্য পাওয়ার কারণেই এবারে স্কোর অর্ধেকে নেমে এসেছে।”
সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করাসহ বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সভায় আত্মার আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন, আত্মা’র যুগ্ম আহ্বায়ক মিজান চৌধুরী ও নাদিরা কিরণ, সদস্যসচিব এবিএম জুবায়ের, সাংবাদিক সাজ্জাদুর রহমান ও সালমা ইয়াসমিন রিতা বক্তব্য দেন।