এবার এজেন্সি প্রতি ন্যুনতম হজযাত্রী ১০০ জন করার দাবি ছিল হাবের।
Published : 12 Jan 2025, 09:22 PM
এবার এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা এক হাজার জন বহাল রেখেই ‘হজ চুক্তি’ সই করেছে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ।
সৌদি আরবের জেদ্দায় রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই চুক্তি হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চুক্তির আওতায় ২০২৫ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য সেবাদানকারী কোম্পানি নির্বাচন, তাঁবুর এলাকা সংরক্ষণ, মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা এবং ক্যাটারিং কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট সেবা নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে দেশটির হজ ও উমরাহ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
আলোচনায় ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা কমানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন।
তবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী এক হাজারই বহাল রেখেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গেল ২০২৪ সালের অক্টোবরেও জেদ্দায় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদিকে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা দুই হাজার থেকে কমিয়ে ২৫০ জন করার অনুরোধ করেন।
সে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ্ব ও উমরাহ মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের জন্য বাংলাদেশি এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা কমিয়ে এক হাজার জন নির্ধারণ করে।
তবে আগামী বছর থেকে আবারও এজেন্সি প্রতি এই কোটা দুই হাজার করবে সৌদি আরব।
এ বছর এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা ২ হাজার নির্ধারিত রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও ভারতের জন্য।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, কনসাল জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ মাইনুল কবির, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ করার সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব; প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় শেষ হলেও সেই কোটা পূরণ হয়নি।
খরচা বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালেও প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি, হজে গিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এবার প্রাথমিক নিবন্ধনই সেরেছেন ৮৩ হাজার ৫২৭ জন, যা চূড়ান্ত নিবন্ধনে আরও কমতে পারে। তার মানে এবার হজযাত্রী কমছে অন্তত ১ হাজার ৭৩০ জন।
এবার এজেন্সি প্রতি ন্যুনতম হজযাত্রী ১০০ জন করার দাবি ছিল হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব)।
গত ৩১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, একই এজেন্সির মাধ্যমে বেশি সংখ্যক হজযাত্রী পাঠালে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না, বরং হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সৌদি আরবকে দুটি আধা-সরকারি পত্র পাঠিয়েছিলেন। সেখানে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা প্রথমে ২৫০ জন ও পরে ৫০০ জন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
“কিন্তু সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কমিটির কাছ থেকে হজযাত্রীর কোটা কমানোর বিষয়ে সম্মতি মেলেনি।”