দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
Published : 29 Aug 2024, 05:57 PM
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত কমে আসায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে; সেই সঙ্গে দুর্গত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কেরও উন্নতি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বৃহস্পতিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী কয়েকদিনে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশের অধিকাংশ জায়গায়। ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বৃষ্টি অনেকটাই কমে এসেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।”
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানিয়েছে, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে এ সময় মনু, খোয়াই, ফেনী, মুহুরী, গোমতী, তিতাস নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
সেই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাঙ্গু, হালদা, মাতামুহুরী, কর্ণফুলী, উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, যমুনাসহ প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে পারে বলে বুলেটিনে বলা হয়েছে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে দেশের সর্বোচ্চ ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে বান্দরবানে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ছাড়া দেশের আর কোথাও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
সাগরে লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে গেল ১৯ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এই অতিভারি বৃষ্টি এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১১টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বন্যায় আক্রান্ত হয় অন্তত অর্ধকোটি মানুষ।
আব্দুর রহমান বলেন, “বঙ্গোপসাগরে মাঝখানে বা মধ্য বঙ্গোপসাগরে এখনও একটি লঘুচাপ রয়েছে। তব, এর প্রভাব পড়বে না দেশে। এটি আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
মোবাইল নেটওয়ার্কে উন্নতি
বন্যার কবলে পড়ে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ফেনীর মোবাইল টাওয়ারগুলো সচল হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি।
এছাড়া বন্যাদুর্গত অন্য ১০টি জেলাতেও মোবাইল নেটওয়ার্কের উন্নতি হওয়া শুরু করেছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ফেনীর ৬৫৩টি টাওয়ারের মধ্যে সচল ছিল ৪৯২টি, লক্ষ্মীপুরে ৭০১টি টাওয়ারের মধ্যে ৬৯৩টি, নোয়াখালীর এক হাজার ১৫১টি টাওয়ারের মধ্যে এক হাজার ৪৬টি, কুমিল্লায় দুই হাজার ৫২৯টির মধ্যে দুই হাজার ৫১২টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক হাজার ৬৫টি টাওয়ারের মধ্যে এক হাজার ৪৯টি, চট্টগ্রামের ৪ হাজার ২৫৮টির মধ্যে ৪ হাজার ২১১টি, খাগড়াছড়িতে ২৩০টির মধ্যে ২১৭টি, হবিগঞ্জে ৭৩৬টির মধ্যে ৭২৯টি, মৌলভীবাজারে ৬৪৮টির মধ্যে ৬৪৬টি, সিলেটে এক হাজার ৫২০টির মধ্যে এক হাজার ৫০৮টি এবং কক্সবাজারে এক হাজার ৬০টির মধ্যে এক হাজার ৩২টি টাওয়ার সচল ছিল।