বিবৃতিতে বলা হয়, "তথাকথিত কিছু মানবাধিকার সংগঠন আশ্চর্যজনকভাবে এই মিথ্যাচার রচনায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
Published : 20 Aug 2023, 06:04 PM
যুদ্ধাপরাধী যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যু ঘিরে ‘সরকারবিরোধী অপপ্রচার’, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ’ এবং সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৪জন নাগরিক।
বিবৃতিটি দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছেন সাংস্কৃতিক সংগঠক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারওয়ার আলী, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, আবেদ খান, শফি আহমেদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ম. হামিদ, শ্যামল দত্ত, গোলাম কুদ্দুছ, কাজী মুকুল, আহকামউল্লাহ।
বিবৃতিতে বলা হয়, "আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে সম্প্রতি একজন সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর অসুস্থতা জনিত কারণে মৃত্যু হওয়ার পর দেশি-বিদেশি কিছু সংগঠন বিষয়টিকে নিয়ে অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে বাংলাদেশবিরোধী ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের বিরুদ্ধে কল্পিত তথ্য পরিবেশন করে বিশ্বের সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
"তথাকথিত কিছু মানবাধিকার সংগঠন আশ্চর্যজনকভাবে এই মিথ্যাচার রচনায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এই সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে মানবধিকার লঙ্ঘনতুল্য করে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে হেয় প্রতিপন্ন করতে তৎপর। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধকে কালিমালিপ্ত করতে এবং বাংলাদেশের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের সম্মুখীন করার মত ঔদ্ধতপূর্ণ উচ্চারণ করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ।"
সরকারের বিরুদ্ধে ‘মানবধিকার লঙ্ঘন ও অগণতান্ত্রিক আচরণের’ অভিযোগ ন্যক্কারজনক বর্ণনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, "সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় কংগ্রেস সদস্য বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মানবধিকার লঙ্ঘন ও অগণতান্ত্রিক আচরণের কথা উল্লেখ করে মার্কিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্যাংশন বা অবরোধ দেয়ার প্রস্তাব করেছে, যা শুধু ন্যক্কারজনকই নয়, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রর সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে আমরা বিবেচনা করি। দেশি-বিদেশি চক্রের এই ধরনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ ও তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি।"
বিবৃতিতে বলা হয়, "আমাদের স্মরণে আছে যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে পাকিস্তান কতৃক পরিচালিত জেনোসাইড, গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধকে তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু সমর্থনই করেনি, পাকিস্তান সরকারকে নানা ধরনের সাহায্য অব্যাহত রেখে তারাও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনকে সহযোগিতা করেছে। তবে একথা ধন্যবাদের সাথে উল্লেখযোগ্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, শিল্পী ও পেশাজীবী সম্প্রদায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করে গণহত্যা ও জেনোসাইডের বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছিল।
"বাংলাদেশের জনগণ বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে মানবতার জয় নিশ্চিত করে।"
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, "২০২৩-২৪ এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বাংলাদেশে যেভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, সেই যড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশপ্রেমিক জনগণ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। জয় বাংলা।"