বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ সৌদি আরবে হজ পালনে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
Published : 21 Jun 2024, 12:28 PM
হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে ৪১৭ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার ভোর ৬টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের প্রথম ফ্লাইট (বিজি ৩৩২) অবতরণ করে।
এই ফ্লাইটটি সৌদির কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর ছেড়েছিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়।
ঢাকার বিমান বন্দরে নামার পর ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাজিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
দেশে নামার পর প্রত্যেক হাজির হাতে জমজমের পানির বোতলও তুলে দেওয়া হয় বলে বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম জানান।
এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমানের পরিচালক (গ্রাহক সেবা) হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ফিরতি হজ ফ্লাইটের অর্ধেক যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস পরিবহন করবে।
চলতি বছর সৌদিতে হজ হয়েছে গত ১৫ জুন। আর গত ৯ মে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়ে ১২ জুন পর্যন্ত চলে। মোট ২১৮টি ফ্লাইটে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত হজ ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। এছাড়া সৌদি এয়ারলাইনস ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস ৩৭টি ফ্লাইট চালিয়েছে।
আর প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন শুরু হয়েছে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত ফিরতি ফ্লাইটে হাজিরা দেশে ফিরবেন।
হজ শেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১২৫টি ‘ডেডিকেটেড’ হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকায় ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি ফ্লাইট আসবে।
বিমানের পাশাপাশি সৌদি আরবের বিমান পরিবহন সংস্থা ফ্লাইনাস ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স বাংলদেশ থেকে হজযাত্রীদের পরিবহন করবে।
৩১ হাজির মৃত্যু
বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ সৌদি আরবে হজ পালনে গিয়েছিলেন।
সেখানে এখন পর্যন্ত ৩১ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর এসেছে; তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, আর নারী রয়েছেন ৬ জন।
এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ২৪ জন, মদিনায় চার জন, জেদ্দায় এক জন, মিনায় দুইজন মারা গেছেন।
সর্বশেষ মো. ইদিস খান নামের এক বাংলাদেশি মক্কায় মারা যান; ৬৬ বছর বয়সী ইদিস মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা।