দেয়ালে দেয়ালে আশিকুর রহমানের ‘দুর্নীতির শ্বেতপত্র’ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Published : 11 Aug 2024, 10:19 PM
ক্ষমতার পালাবদলে পরিবর্তনের হাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকেরেরও অপসারণ চেয়েছে তারা।
রোববার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তারা এ বিষয়ে দাবিনামা দেন। নগর ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে সচেতন নাগরিকের ব্যানারে পোস্টারও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তরের দরজায় লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘প্রবেশ নিষেধ’ সম্বলিত পোস্টার।
৫ জুন সরকার পতনের পর থেকে প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান এবং খায়রুল বাকের কার্যালয়ে আসছেন না। এর মধ্যে দেয়ালে দেয়ালে আশিকুর রহমানের ‘দুর্নীতির শ্বেতপত্র’ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেখানে অভিযোগ করা হয়, আশিকুর রহমান মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নির্মাণব্যয় ৮শ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২শ কোটি টাকা করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগে ওয়ান ইলেভেনের পর তিনি পালিয়ে বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। সিটি করপোরেশনের নানা প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, প্লটসহ নানা ধরনের সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি।
২০২৩ সালে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডিএসসিসির অনেক উন্নয়নকাজ আশিকুর রহমানের জন্য আটকে গেছে। প্রকৌশলী, কর্মীরা তার কাছে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
“মূল দাবি, আমরা সবাই নির্যাতিত তার কাছে। যেসব কর্মচারী ছিল, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমাদের প্রকৌশলীদের দুর্ব্যবহার, নির্যাতন করত। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।”
আগে তাকে অপসারণের দাবি তোলেননি কেন জানতে চাইলে ওই প্রকৌশলী বলেন, “আমরা এর আগেও অনেকবার মেয়র মহোদয়, সিইও স্যারকে বলেছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি, তার (আশিকুর) যোগাযোগ অনেক বেশি। কিন্তু এখন এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন, এজন্য আমরা দাবিটি আবার জানিয়েছি। আমাদের দাবির সঙ্গে দুজন বাদে সব প্রকৌশলী একাত্মতা জানিয়েছেন।”
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আশিকুর রহমানকে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। খায়রুল বাকেরকেও মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের মোবাইলেও একাধিকবার কল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি ধরেননি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও এই মুহূর্তে দেশে নেই। ফলে তার বক্তব্যও জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।