“নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পদটি একটি টেকনিক্যাল পোস্ট। অথচ এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন সরকারি আমলাকে, যার খাদ্য সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।”
Published : 04 Mar 2025, 07:20 PM
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন ও অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল কবির ও অ্যাডভোকেট মো. ঈসা।
হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, “নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পদটি একটি টেকনিক্যাল পোস্ট। অথচ এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন সরকারি আমলাকে, যার খাদ্য সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।
“এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আশা করছি সংশ্লিষ্টরা রুলের জবাব দেবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
আইনজীবী পল্লব বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যানের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত ২৩ জানুয়ারি তিনি উকিল নোটিস পাঠান।
মানবাধিকার সংস্থা ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও অ্যাডভোকেট ওসমান গনির পক্ষে নোটিসটি পাঠানো হয়।
নোটিসে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
সেখানে বলা হয়, ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী খাদ্য বিষয়ে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) বৎসরের পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং বিস্তৃত বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন। অথচ বর্তমান চেয়ারম্যান একজন অতিরিক্ত সচিব। নিরাপদ খাদ্য আইনের ৯ ধারার কোনো যোগ্যতাই বর্তমান চেয়ারম্যানের নেই।
কোন যোগ্যতাবলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যান তার পদে রয়েছেন সে সম্পর্কে বিবাদীদের নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট মামলা করা হয়।