পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো তথ্যেও নেই সব থানা চালু না হওয়ার কারণ।
Published : 10 Aug 2024, 12:56 AM
সারা দেশের ছয় শতাধিক থানার মধ্যে প্রায় অর্ধেক থানারই কার্যক্রম শুরু হয়নি গত পাঁচ দিনেও।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো তথ্যেও নেই সব থানা চালু না হওয়ার কারণ। অথচ থানায় যোগদানে বুধবারের আইজিপির নির্দেশের নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায়।
আর যেসব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতে সীমিত কার্যক্রম চলতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ থানাতেই অধিকাংশ পুলিশ সদস্য যোগ দেননি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে দেশের প্রতিটি থানার কার্যক্রম মূলত বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ হত্যা, থানা পুড়িয়ে দেওয়াসহ নানা কারণে থানায় যেতে চাইছেন না পুলিশ সদস্যরা। চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন এমন দাবিও করছেন তারা।
পুলিশ সদস্যদের থানায় ফিরে আনার চেষ্টা সব পর্যায় থেকে হচ্ছে। সেনাবাহিনী এবং বিজিবির সহযোগিতায় দেশের কছু থানায় কার্যক্রম চালু হলেও কর্মকর্তাদের বেশিক্ষণ থানায় থাকতে দেখা যায়নি। কোন সেবা গ্রহীতা থানায় গেছেন এমন তথ্যও মেলেনি কারো পক্ষ থেকে।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় বা দেশের অন্য কোথাও পোশক পরা কোনো পুলিশের দেখাও মেলেনি। রাস্তায় শিক্ষার্থী, আনসার, ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের ট্রফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে।
শুক্রবার সেনাবাহিনী বা বিজিবির সহায়তায় যখন কয়েকটি থানার কার্যক্রম শুরু হলে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় দেখা গেছে।
পুলিশের এই অবস্থার মধ্যে শুক্রবার রাজারবাগে আইজিপির উপস্থিতিতে সাধারণ পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তারা সকল হত্যার বিচার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নানা অভিযোগ আনেন। আইজিপি এবং দু-একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়া সব পুলিশ সদস্যই সাদা পোশাকে ছিলেন।
এ অবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রাতে পাঠানো এক বার্তায় দেশে ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৩৬১টি থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, আটটি মহানগরের ১১০টি থানার মধ্যে ৭০টি এবং বিভিন্ন রেঞ্জের মোট ৫২৯টি থানার মধ্যে ২৯১টি থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে।
অন্য ২৭৮টি থানার কার্যক্রম চালু না হওয়ার ব্যাপারে বার্তায় কোনো তথ্য নেই।