ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঢাকাতেও হাওয়া, বৃষ্টির আভাস

বৃষ্টি শুরু হলে তা দুই থেকে তিনদিন স্থায়ী হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2023, 11:45 AM
Updated : 14 May 2023, 11:45 AM

টানা কয়েকদিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার’ প্রভাবে ঢাকাতেও বইছে বাতাস; কমেছে তাপমাত্রা, রয়েছে বৃষ্টির আভাস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে। শনিবার চুয়াডাঙ্গা এবং নীলফামারীর ডিমলায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। রোববারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ডিমলায়, তবে তা আগের দিনের চেয়ে কম, ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে একজন আবহাওয়াবিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোখার প্রভাবে ঢাকায় এই বাতাস বইছে। আজকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, আগামীকালও আছে। বৃষ্টি হলে তা দুই থেকে তিন দিন থাকবে।”

এর আগে মোখা নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, “ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগ অতিক্রমের পর সোমবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে তিন বিভাগে। সোমবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়বে।”

আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে মাঝারি থেকে থেকে ভারি ও অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। আগামী তিনদিন বৃষ্টি বা ব্জ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার সকালে কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। বৃষ্টি ঝরিয়ে স্থলভাগে উঠে আসার পথে ক্রমাগত শক্তি হারাতে থাকে এ ঝড়।

সাগরে থাকার সময় মোখার বাতাসের গতির কারণে যতটা বিপদ হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, এ ঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় ততটা ভয়াবহ হয়ে ওঠেনি। সকালের ভাগে ভাটা থাকায় জলোচ্ছ্বাসও ভয়ঙ্কর মাত্রা পায়নি।