একাত্তরের বদরপ্রধান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা গণজাগরণ মঞ্চ।
Published : 16 Jun 2015, 04:11 PM
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায়ে মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা ছিল। আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে সেই আশঙ্কা দূর হয়েছে।”
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা আগের রায়গুলোর মতো এদিনও সকালেই শাহবাগে জড়ো হন। রায়ের পর তারা উল্লাসে মেতে ওঠেন।
সকাল ১০টার পর শাহবাগ থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি টিএসসি ঘুরে শাহবাগ এসে শেষ হয়।
ইমরান বলেন, “এই অপরাধী তার অপরাধের জন্য কোনো অনুশোচনা করত না। এই অপরাধী যেহেতু জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ছিল, সে কারণে মানুষের মধ্যে একটা আশঙ্কা ছিল, আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায় কি-না।
“ক্ষমতার অপব্যবহার করে, দেশি-বিদেশি লবি ব্যবহার করে ছাড় পেয়ে যায় কি-না, এ ধরনের আশঙ্কা আমাদের ছিল। এই রায়ের মাধ্যমে আমাদের আশঙ্কা দূর হয়েছে। ”
তিনি বলেন, “এখন আমরা অপেক্ষা করছি, শিগগির এই অপরাধীর রায় কার্যকর দেখার। এই রায় কার্যকরের মাধ্যমে মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে।”
চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিল
মুজাহিদের চূড়ান্ত রায়ের পর চট্টগ্রামেও আনন্দ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে এই আনন্দ মিছিল বের হয়। আন্দরকিল্লা মোড় ঘুরে চেরাগী পাহাড়ে এসে শেষ হয় জাগরণের মিছিল।
এর আগে চেরাগী পাহাড় মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা রায় দ্রুত কার্যকর করার পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানান।