শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রণয়ন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
Published : 24 May 2015, 08:36 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই আওয়াজ তোলার পর রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিতে সোমবার প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী খসরুল আলম কুদ্দুসী প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় টাইম স্কেল ও সিলেকশান গ্রেড বাদ দেওয়ার সুপারিশে আপত্তি জানান।
তিনি বলেন, “প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ সার্কভুক্ত অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অনেক কম বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পান। টাইম স্কেল ও সিলেকশান গ্রেড বন্ধ হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন আরও কমে যাবে।”
প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোর কয়েকটি সুপারিশ ‘অগ্রহণযোগ্য’ দাবি করে খসরুল বলেন, এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ অবনমনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং সপ্তম বেতন কাঠামোর তুলনায় শিক্ষকদের বেতনস্কেল অবনমনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার দাবি জানিয়ে শিক্ষকদের সিনিয়র অধ্যাপক (সিলেকশান গ্রেড প্রাপ্ত) ও অধ্যাপকদের মূল বেতন সিনিয়র সচিব ও পদায়িত সচিবদের বেতনের সমান করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
একইভাবে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামোও ক্রমানুসারে নির্ধারণের দাবি করা হয়।
সমিতির অন্য দাবিগুলো হল- ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডিন্সে শিক্ষকদের পদমর্যাদা নিশ্চিত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পদমর্যাদা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান এবং সরকারি কমকর্তাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যও গাড়ি, আবাসন ও অন্যান্য সুবিধাসহ গবেষণা ভাতা, বইভাতা নিশ্চিত করা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল মনছুর, সহসভাপতি শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, কোষাধ্যক্ষ হানিফ সিদ্দিকী, যুগ্ম সম্পাদক অহিদুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অরুপ বড়ুয়া সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।