সাতখুনের মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র নিয়ে আদালতে আপত্তি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
Published : 11 May 2015, 02:45 PM
এজাহারে থাকা কয়েকজনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ায় এবং কয়েকজনের নাম না আসায় সোমবার এই নারাজি আবেদন করেন সেলিনা। এদিন অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এইচ এম শফিকুল ইসলাম নারাজি আবেদন নিয়ে আগামী ৮ জুন এ বিষয়ে শুনানির দিন রেখেছেন।
বাদীর আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন জানান, সেলিনা ইসলাম বিউটির দায়ের করা মামলার এজাহারের পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়া এবং আসামিদের জবানবন্দিতে আসা অনেকের নাম অভিযোগপত্রে না রাখায় নারাজি দেওয়া হয়েছে।
সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা অপর মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালকে আদালত পরবর্তী তারিখে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে বলে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কেএম ফজলুর রহমান জানান।
অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানির দিন থাকায় এ মামলার ৩২ আসামিকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতাসহ র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাও তাদের মধ্যে ছিলেন।
গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন।
গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্র্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডল দুই কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার এজাহারে আসা ১৬ জনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন গ্রেপ্তার এবং র্যাবের ৮ সদস্যসহ ১৩ জনকে পলাতক দেখানো হয় অভিযোগপত্রে।
মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটকের পর সেখানেই কারাগারে আটক রয়েছেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের একটি মামলায় সাজা হওয়ায় কাউন্সিলর পদ খুইয়েছেন তিনি।