ঢাকা সিটি নির্বাচনের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে গিয়েও বিফল হয়েছেন বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু। এতে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে আইনজীবীদের কথায় স্পষ্ট হয়েছে।
Published : 09 Apr 2015, 10:49 AM
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সকালে মিন্টুর আবেদনের শুনানি নেন। শুনানির পর ‘নো অর্ডার’ বলে এর সমাপ্তি টানে আদালত।
এতে মিন্টুর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশই বহাল থাকল। নির্বাচন কমিশনের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
আপিলে মিন্টুর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আবেদনকারীর প্রার্থনা ছিল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে আদেশ দেওয়া হয়। তারা তা পায়নি। ফলে তিনি (মিন্টু) নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না।”
মিন্টুর আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “রিটার্নিং অফিসার যে আদেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ সেটা বহাল রেখেছেন। সুতরাং মিন্টুর আবেদন অবৈধ ঘোষণা বহাল রয়েছে।
“সরকার যতোই ‘ষড়যন্ত্র’ করুক না কেন ঢাকা উত্তরে বিএনপির প্রার্থী থাকবে। ইনশাল্লাহ সে জিতবে”
ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালও আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গত সোমবার তাকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আউয়াল।
মাল্টিমোড গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্রে সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষরকারী আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভোটার না হওয়ায় তার প্রার্থিতার আবেদন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম।
ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করলে তা খারিজ হয়। এরপর মিন্টু হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন, যাতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিষয়ে নির্দেশনা ও রুল চাওয়া হয়।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চে গত সোমবার মিন্টুর ওই আবেদন সরাসরি খারিজ হয়ে যায়।
এরপর হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মিন্টু।