ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলায় ‘অজানা’ রোগে দুজনের মৃত্যুর পর একই লক্ষণ নিয়ে আরেকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
Published : 07 Apr 2015, 05:07 PM
নতুন আক্রান্ত সখিনা খাতুন উপজেলার সামন্তা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী। তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে মৃত দুজন হলেন সখিনরা মেয়ে আসমা খাতুন (২২) এবং কোলা গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে এনামূল হক (২৭)।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম জানান, গত শনিবার (৪ মার্চ) সখিনা খাতুনের শরীরে ‘অজানা’ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।
রোববার সন্ধ্যায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এখন নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। তার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন আরও জানান, দুটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা এলাকায় ১৪ জন রোগীকে পর্যবেক্ষণ করছেন। এরা সবাই জল বসন্তে আক্রান্ত। তারা এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এ ১৪ জনের রোগের লক্ষণ মৃত দুজনের লক্ষণ থেকে ভিন্ন বলে স্বীকার করেন সিভিল সার্জন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মোকাররম হোসেন জানান, ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিরাময় ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল সোমবার ঝিনাইদহ এসে রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে।
পরীক্ষার জন্য রোগীর রক্ত ও সিরাম ঢাকায় নিয়ে গেছেন।
এখন তাদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র মতো চিকিৎসা চলছে বলে জানান ডা. মোকাররম হোসেন।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাহাজ্জেল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে আসা টিমের সদস্যরা সদর হাসপাতাল ও মহেশপুর উপজেলার শামন্তা ও কোলা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন।
তারা গ্রাম দুটির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এছাড়া মৃত দুজনের সঙ্গে যারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের রক্ত ও সিরাম সংগ্রহ করেন বলে জানান তাহাজ্জেল।
ডা. তাহাজ্জেল জানান, গত ২৭ মার্চ সামন্তা গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আসমা খাতুনের কোমড়ে ব্যথা হলে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
“এরপর ব্যথা আরও তীব্র হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গায়ে জল বসন্তের মতো গুটি বের হয় এবং মুখের ভিতর ঘা ও জ্বরও হয়।”
২৯ মার্চ মৃত্যুর আগে তার শ্বসকষ্ট হয়েছিল বলে জানান ডা. তাহাজ্জেল হোসেন।
তিনি আরও জানান, আসমার মৃত্যুর একদিন পর (৩০ মার্চ) কোলা গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে এনামূল হক একই লক্ষণ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
এখান থেকে তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৩১ মার্চ চিকিৎসাধিন অবস্থায় এনামূলের মৃত্যু হয় বলেন জানান ডা. তাহাজ্জেল।