ব্লগার অভিজিৎ রায় ও ওয়াশিকুর রহমান হত্যার ঘটনাকে ‘বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
Published : 02 Apr 2015, 01:56 PM
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ঢাকায় গত ৩০ মার্চ ওয়াশিকুর রহমানের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে এক মাসের মধ্যে ব্লগারদের ওপর হামলার দ্বিতীয় ঘটনা।
“ওয়াশিকুর ও অভিজিতের হত্যাকাণ্ড বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর হামলা।”
বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা, বিবেক, ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতার প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে এই বিবৃতিতে।
মুক্তবুদ্ধির ওপর হামলাকারীদের রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশে এ ধরনের সহিংস উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের একযোগে কাজ করা উচিৎ।”
সমাজের জন্য সহনশীলতা ও সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
দুই ব্লগার হত্যায় জড়িতদের ধরার আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, “এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
গত সোমবার সকালে তেজগাঁওয়ে নিজের বাসার কাছে সন্ত্রাসী হামলায় খুন হন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু, যিনি ধর্মীয় কুসংস্কার ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের বিরুদ্ধে লিখতেন।তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে পালানোর সময় দুই মাদ্রাসাছাত্রকে ধরে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় দুর্বৃত্তের চাপাতির কোপে নিহত হন লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়। মুক্তমনা ব্লগ সাইটের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎকে হামলার সময় তার স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাও আক্রান্ত হন।
সোমবার ওয়াশিকুরকে হত্যার পর ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস থেকে নিন্দা জানানো হয়।বিবৃতি পাঠিয়ে হত্যাকাণ্ডের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স সরকারও।