যাত্রাবাড়ীতে বাসে অবরোধকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হওয়ার নয় দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ঠিকাদারের মৃত্যু হয়েছে।
Published : 01 Feb 2015, 02:01 PM
নিহত নূর আলম (৪০) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার পেচান গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার দুটি সন্তান রয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি এক আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে এসে রাতে ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় অন্য বাসযাত্রীদের সঙ্গে তিনিও পেট্রোল বোমার শিকার হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, “রোববার সকালে নূর আলমকে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরের ৪৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।”
ওই ঘটনায় নূর আলমের সঙ্গে আরও ৩০ জন দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বলেন, “২৩ জানুয়ারি যারা এসেছিলেন, তাদের শরীরের ১২ থেকে ৪৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। অন্যদের অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভাল, তবে কাউকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।”
যাত্রাবাড়ীর ওই ঘটনায় মোট ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে দুটি মামলা করেছে পুলিশ, যাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি।
এজাহারে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী অবরোধের ডাক দেন এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশে অচলাবস্থা নিশ্চিত করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। তার ওই নির্দেশেই আসামিরা বাসে নাশকতা ঘটান।