বাঙালি যুবক নিহতের জেরে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সাঁওতাল পল্লিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।
Published : 26 Jan 2015, 04:00 PM
সোমবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন এ দাবি জানান।
এরা আগে পরিষদ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি, থালা-বাসন, সেলাই মেশিন, নগদ টাকা, ঘরের টিন, শ্যালো মেশিন, টিউবওয়েল, ভ্যান, সাইকেল, স্বর্ণালংকার এমনকি চাল-ডাল, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড় পর্যন্ত লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র, দলিলপত্র, ছেলেমেয়েদের বইপুস্তক পুড়িয়ে দেওয়া হয়, নারীদের মারপিট ও শ্লীলতাহানি করা হয়।
রবীন্দ্রনাথ সরেন দাবি করেন, বাঙালি-আদিবাসী সংঘর্ষে সাফিউর রহমান সোহাগ নিহতের ঘটনায় ১৯ জন আদিবাসী সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অথচ যারা আদিবাসীদের ঘর-বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এছাড়া সাঁওতাল পল্লিতে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসী পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন, আদিবাসী গ্রামের নারী-পুরুষ-শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার দাবি জানান তিনি।
গত শনিবার (২৪ জানুয়ারি) পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তাফাপুর ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাঁওতাল ও বঙালির সংঘর্ষে সাফিউর রহমান সোহাগ নামে এক যুবক নিহত হন।
এরপর একদল লোক সাঁওতালপাড়ায় হামলা চালায়।
হত্যার ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ১৯ জন আদিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাস্থলে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।