খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 24 Jan 2015, 07:22 PM
শনিবার রাত ৮টা ১৯ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেন বলে জানিয়েছেন গণভবনে থাকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়ক প্রতিবেদক রিয়াজুল বাশার।
হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরাফাত রহমানের মৃত্যু হয়।
স্ত্রী সৈয়দ শামিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন আরাফাত।
২০০৯ সালের মে মাসে শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর পর ধানমণ্ডির সুধা সদনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জানান এবং দুই নেত্রীর মধ্যে কিছুক্ষণ কথাও হয়।
এরপর বেশ কয়েকবার একই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও তারা কথা বলেননি।
২০১৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর শোক জানাতে বঙ্গভবনে দুই নেত্রী গিয়েছিলেন। অবশ্য সে সময় কথা হয়নি তাদের মধ্যে।
এছাড়া বিগত কয়েকবছরে একাধিকবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে গেলেও কথা বলেননি তারা।
জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন আরাফাত।
সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। অন্যদিকে মুদ্রা পাচার মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ২০১১ সালে তার ৬ বছর কারাদণ্ড হয়; তবে বিএনপির দাবি, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।