রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা আইনের খসড়া আরও পর্যালোচনা করার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Published : 15 Dec 2014, 04:33 PM
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা আইন, ২০১৪’ এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়।
“মন্ত্রিসভা বলেছে, আইনটি আরও পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবার মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করে রিভাইস করতে হবে।”
রাষ্ট্রপতি যে পেনশন পান তা ১৯৭৯ সালের একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে সামরিক সরকারের সময়ের প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করতে হবে। সেজন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বর্তমানে কোন কোন রাষ্ট্রপতি পেনশন পাচ্ছেন- সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির কেউ কেউ পেনশন পাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ পরিবারিক পেনশন পাচ্ছেন, সবাই পাচ্ছেন না।
“কেউ কেউ আছেন যারা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাচ্ছেন না, কিন্তু আগে যেখানে কাজ করেছেন, সেখান থেকে পাচ্ছেন।”
তবে বঙ্গবন্ধুর পরিবার পারিবারিক পেনশন পাচ্ছেন না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা হিসাবে পাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় জানান তিনি।
খসড়ায় অবসরভাতা বাড়ানোর কোন বিষয় রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “রাষ্ট্রপতি বেতন-ভাতা একটি আইন দিয়ে হয়, আর এটি হচ্ছে আলাদা আইন, এখানে যারা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পেনশন, গ্রাচুইটি যেগুলো সুবিধা পান সেগুলো বলা হয়েছে।
“অবসরভাতা মূল বেতনের শতকরা ৭৫ ভাগ পান, রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা বৃদ্ধি করতে হলে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আইন পরিবর্তন করতে হবে।”
গোলাম রসুলের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় দেওয়া ঢাকার সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক সদস্য কাজী গোলাম রসুলের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভায় শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা নিয়ে গোলাম রসুল গত ২৭ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ২০ আসামির ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার তৎকালীন দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল।