খুলনার দৌলতপুরে সরকারি বিএল কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচ জন আহেত হয়েছেন।
Published : 23 Nov 2014, 04:20 PM
দৌলতপুর থানার ওসি মো. আবু মুছা খন্দকার জানান, রোববার দুপুরের এ ঘটনায় ক্যাম্পাস থেকে সানি, জনি ও হাফিজ নামে তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটা করতে হয়েছে বলেও জানান ওসি মুছা।
আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে। তবে, তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। দুপুরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে শিবলু ও সানির পক্ষের ছাত্ররা এবং তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াজ শাহেদ পক্ষের ছাত্ররা ক্যাম্পাসে লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া করে এবং সংঘর্ষে জড়ায়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পাঁচ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
তিনি বলেন, “পুলিশ অস্ত্রধারীদের আটকের চেষ্টা করলে তারা কলেজের পাশে ভৈরব নদে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ছাত্রদলের তিন কর্মী সানি, জনি ও হাফিজকে আটক করে পুলিশ।”
আবারও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সরকারি বিএল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দর্প নারায়ণ সাহা জানান, ছাত্রদলের দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে রোববার দুপুরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া তিন জনকে পুলিশ আটক করেছে।