আগের ঘোষণা থাকলেও ফিটনেসবিহীন যানবাহন ধরতে সারাদেশের মতো রাজধানীর তিনটি পয়েন্টেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অভিযানে গণপরিবহন সঙ্কটে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
Published : 10 Nov 2014, 07:35 PM
সোমবার সকালে বিআরটিএ’র অভিযান শুরুর পরপরই রাজধানীর সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কমতে থাকে। বিশেষ করে অফিস ছুটির সময় বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর নানা সড়কে দেখা গেছে বাড়ি ফেরার জন্য গণপরিবহনের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ভিড়।
পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকলেও এসময় সড়কে ছিল যানজট। মহাখালী, গুলশান, বনানী, কারওয়ানবাজার, ধানমণ্ডিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়কে ছিলো তীব্র যানজট।
বিআরটিএ-এর এ অভিযানের অবস্থা তদারকি করতে এসে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাতারাতি সড়কের অবস্থা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ওভারনাইট আমরা কোনও সুফল পাবো না। সাময়িকভাবে মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে।”
“তবে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সব সময়ই মোবাইল কোর্ট থাকে। এখন যেটা হচ্ছে সেটা একটা অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম এবং একই সাথে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হচ্ছে।”
তিনি জানান, রাজধানীর তিনটি পয়েন্টে এ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। এগুলো হচ্ছে গাবতলী, বনানীর কাকলী এবং কারওয়ানবাজার।
বিআরটিএ-এর তিনজন নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৭৭ টি, জরিমানা করা হয়েছে ৯৫ হাজার টাকা, ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হযেছে দুই জনকে, কাগজ জব্দ করা হয়েছে দুইটি গাড়ির এবং ডাম্প করা হয়েছে একটি গাড়ি।
এর পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) রাজধানীর ৬৩টি রুটে ২৬৩টি বাস চালিয়ে আসছে।
বিকল্প পরিবহন হিসেবে সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে আট হাজার একটি। আর ট্যাক্সি ক্যাবের পরিমাণ পাঁচশ’টি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া বিআরটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি মুলত বিআরটিএ’র রুটিন ওয়ার্ক, যার সাথে একটি জনসচেতনতা মুলক কার্যক্রম চলছে।এটি চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
“মূলত গাড়ির ফিটনেস, গণপরিবহনের ক্ষেত্রে রুট পারমিট, চালকের লাইসেন্স আছে কি না, মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন, দুইজনের অধিক চলাচল করছে কি না এবং হেলমেট আছে কি না ইত্যাদি দেখা হয়েছে। ”
১৫ দিনের কারাদণ্ড
বিআরটিএ’র অভিযান তদারকি করে মন্ত্রী চলে যাওয়ার সময় সংসদ ভবনের উল্টো দিকে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনকারী একটি বাসকে আটকান সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা।
এক পর্যায়ে বাসটি চলে যেতে থাকলে সাংবাদিকরা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশারকে প্রশ্ন করেন, এটিকে চলে যেতে দিলেন কেন?
জবাবে তিনি বলেন, সার্জেন্টকে আটকাতে বলা হয়েছে।
পরে চালক জাহাঙ্গীর আলমকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে আসা হলে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।