কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ কামারুজ্জামান আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় শুনেছেন রেডিওতে, যে রায়ে মৃত্যুদণ্ডই বহাল রয়েছে।
Published : 03 Nov 2014, 02:15 PM
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খবর শুনে একাত্তরের এই বদর নেতা ছিলেন নির্বিকার; বাহ্যিক বা মানসিক পরিবর্তনও দেখা যায়নি।
যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির দণ্ড সোমবার বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
কাশিমপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরের মে মাসে ফাঁসির দণ্ড দেওয়ার পর থেকে এই কারাগারের চল্লিশ নম্বর ফাঁসির সেলে কয়েদির পোশাকে বন্দি রয়েছেন কামারুজ্জামান। নিজের কাছে থাকা রেডিওতে আপিল বিভাগের রায় শোনেন তিনি।
“রায় শোনার পর বাহ্যিকভাবে তার মানসিক কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। খাওয়া-দাওয়াসহ তার আচরণ স্বাভাবিক। তাকে বিচলিত মনে হয়নি।”
ফাঁসির সেলে কেউ ইচ্ছা করলে এক ব্যান্ডের রেডিও রাখতে পারে বলেও জানান তিনি।
এই কারা কর্মকর্তা জানান, ওই নিয়ম মেনেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি এক ব্যান্ডের রেডিও তার কক্ষে রাখতে দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ২০১১ সালের ২৪ জুন থেকে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান।
জাহাঙ্গীর কবির জানান, ফাঁসির দণ্ড পাওয়া কামারুজ্জামান ছাড়াও জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামসহ এ কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০৪ জন, যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ৪৪১ জনসহ দুই হাজারের মতো বন্দি রয়েছেন।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া জামায়াতের অপর নেতা মীর কাসেম আলীকে শুক্রবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তিনি সেখানেই রয়েছেন।