একাত্তরে চট্টগ্রামে আলবদর বাহিনীর প্রধান নির্যাতন কেন্দ্র মহামায়া ভবনে (ডালিম হোটেল) শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
Published : 02 Nov 2014, 01:32 PM
রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চট্টগ্রামের আলবদর প্রধান মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর মিছিল নিয়ে ডালিম হোটেলে যায় চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চ।
এর আগে রায় ঘোষণাকে ঘিরে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন। রায় শুনে উল্লাসে ফেঁটে পড়েন গণজাগরণকর্মীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে ডালিম হোটেলে যান।
এ সময় নির্যাতিতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান বলেন, একাত্তরে এই ডালিম হোটেলে শতশত মুক্তিযোদ্ধাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্মম নির্যাতন করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাও করা হয়েছে।
“শহীদদের স্মরণে এই নির্যাতন কেন্দ্রে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি ডালিম হোটেলে জাদুঘর নির্মাণেরও দাবি জানাচ্ছি। একাত্তরে যেসব কেন্দ্রে নির্যাতন চালানো হতো তার সবগুলোর স্মৃতি সংরক্ষণেরও দাবি জানাচ্ছি।”
ডালিম হোটেলের সামনের সমাবেশ শেষে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যায়।
একাত্তরে নগরীর টেলিগ্রাফ রোডের মহামায়া হোটেল (আল বদর ও রাজাকাররা দখল করে এটির নাম দেয় ডালিম হোটেল), দেওয়ানহাটের দেওয়ান হোটেল, চাক্তাই চামড়া গুদাম এলাকার দোস্ত পাঞ্জাবি বিল্ডিং এবং পাঁচলাইশের সালমা মঞ্জিলে চট্টগ্রামের বদর প্রধান মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত হত নির্যাতন কেন্দ্র।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য সচিব ডা. চন্দন দাশ, সংগঠক রাশেদ হাসান, সুনীল ধর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ডালিম হোটেলে নির্যাতিত সাইফুদ্দিন খানের স্ত্রী নারীনেত্রী নূরজাহান খান, যুব নেতা প্রিন্স রুবেল, ছাত্র নেতা আল কাদেরী জয়, শিমুল বৈষ্ণব, রবিউল হোসেন, ফারুক আহমেদ রুবেল প্রমুখ।