অপরাধ দমনে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করতে একটি চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Published : 20 Oct 2014, 06:20 PM
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধের পাশাপাশি মানবপাচার, আর্থিক অপরাধ দমনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সহযোগিতা নিতে ও দিতে এই চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এই মাসের শেষে প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফরের সময় এই চুক্তি সই হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত, সম্প্রতি দেশটির ভিসা পদ্ধতি কঠোর হওয়ায় এই মুহূর্তে বাংলাদেশি নতুন কর্মী সেখানে যেতে পারছে না।
এই সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সফর ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন মোশাররাফ হোসাইন।
“দুটি চুক্তি করার জন্য আমিরাত আমাদের প্রস্তাব করেছে, একটি আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, আরেকটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”
দণ্ডিত অপরাধী বিনিময়ের ওই চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বর্তমানে আমিরাতে রয়েছেন।
“এ চুক্তি দুটি যদি আমরা স্বাক্ষর করতে পারি, বাস্তবায়ন হয়, আশা করা যায় যে সমস্ত কারণে বাংলাদেশের বিষয়ে ভিসা পদ্ধতি কঠিন করেছে বা বাংলাদেশের জনশক্তি পাঠানো বন্ধ হয়ে আছে, এ সমস্যা নিরসনে সহায়ক হবে,” বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কুয়েতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ কুয়েতের সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবও সোমবারের বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এ উদ্যোগটা কুয়েতের, কুয়েতের সাথে আমাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে, আমাদের পক্ষ থেকে আলাপ আলোচনা করে একটি ড্রাফট করা হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় আসে।
“এ চুক্তির একটি নতুন ডাইমেনশন হলো এন্টি স্মাগলিং এবং এন্টি নারকোটিকস মেজারস, এটি মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ, তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।”
এই চুক্তির আওতায় সামরিক ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমও রয়েছে।
কুয়েতের সঙ্গে এই চুক্তি ৫ বছরের জন্য হবে এবং নবায়নের সুযোগ থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।