আয়োজন সব ঠিকঠাক, তিন হাজার অতিথির জন্য নিমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে; বিয়ের পোশাকও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
Published : 15 Oct 2014, 06:19 PM
চলতি মাসের শেষেই ঘুচতে যাচ্ছে সাতষট্টি বছর বয়সী এই আওয়ামী লীগ নেতার ‘নিঃসঙ্গতা’।
বুধবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে বিয়ের প্রস্তুতি জানতে চাইতেই কুমিল্লার এই সাংসদের মুখে ছড়িয়ে পড়ল লাজুক হাসি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বললেন, “বিয়ের তারিখ বলছি না, তবে কন্যার বাড়িতেই বিয়ে হবে। শেরোয়ানী পরেই বিয়ে করতে যাব, সব ধরনের আয়োজনই থাকবে।”
রেলমন্ত্রীর নিজের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। আর পাত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা কুমিল্লার চান্দিনার মেয়ে।
মুজিবুল হক আগেই জানিয়েছিলেন, পাত্রী মাস্টার্স পাস, আইনের ডিগ্রিও আছে। তার সঙ্গে পরিচয় বছর তিনেক আগে। সেই সূত্রেই বিয়ে।
মন্ত্রী এর আগে ডিসেম্বরে বিয়ের আয়োজনের কথা বললেও পরে তা এগিয়ে অক্টোবরে নিয়ে আসা হয়।
বিয়ের পর বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর শুক্রবার। অনুষ্ঠান হবে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের এলডি হলে।
এছাড়া ১৬ নভেম্বর কুমিল্লায় নিজের এলাকায় আলাদাভাবে বধূ বরনের ব্যবস্থা হয়েছে বলে মুজিবুল হক জানান।
তিনি জানান, বৌভাতের জন্য প্রায় ৩ হাজার নিমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে। এখন চলছে বিলি করার কাজ। বাকি আয়োজনও মোটামুটি শেষ।
আমন্ত্রণপত্রে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রীর তিন ভাই মো. আবদুর রশিদ, মো. আব্দুল মতিন এবং এবিএম আবদুল লতিফ।
কার্ডে বলা হয়েছে, “পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আসছে ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ইং রোজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় আমাদের কনিষ্ঠ ভ্রাতা মো. মুজিবুল হক মুজিব এর বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”
১৯৪৭ সালের ৩১ মে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুজিবুল। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি।
কুমিল্লা-১১ আসন থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। শেখ হাসিনার গত সরকারের শেষ দিকে ২০১২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এবারও রেলপথের দায়িত্ব তাকেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
৬৭ বছর বয়সে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে গত ২ সেপ্টেম্বর মুজিবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “দেখলাম মানুষের জীবনের শেষ বয়সে একজন সঙ্গিনী দরকার, যাতে পরবর্তী জীবনে নিঃসঙ্গ না থাকতে হয়।”