গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে একটি দুই তলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্রহ্মপুত্র নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
Published : 29 Sep 2014, 09:41 PM
সোমবার ভোর রাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের আংগারিদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
অভিযোগ উঠেছে গত চার সপ্তাহ আগে বিদ্যালয় ভবনটি নিলাম করার সিন্ধান্ত নেয়া হলেও কর্তৃপক্ষের ‘খামখেয়ালিতে’ তা স্থগিত করা হয়।
এলাকবাসী জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন শুরু হয়।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এলাকার লোকজন বারবার নিলামের তাগাদা দিলেও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে গেল। দুদিন আগে নিলামে দিলেও সরকারের কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব আয় হত।
ফুলছড়ি উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রথম দফা বন্যায় বিদ্যালয়টির এতোটা ঝুঁকিতে ছিল না। কিন্তু এ দফার বন্যা ও ভাঙনের তীব্রতা এতই বেশি যে সোমবার ভোর রাতে হঠাৎ করেই ভবনটি বিলীন হয়ে যায়।”
উপজেলা প্রকৌশলী আকতারুজ্জামান বলেন, “স্পট কোটেশনের জন্য রোববার মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। সোমবার সকালে নিলাম দিতে এসে দেখি বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে চলে গেছে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “বিদ্যালয়টি নদীতে দেবে যাওয়ার কারণে নিলাম দেয়া সম্ভব হলো না। তবে শুকনো মৌসুমে নদীতে পড়ে যাওয়া ভবনটি নিলাম দেয়া হবে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে এলজিইডি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আংগারিদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। গত ৪ বছরে ব্রহ্মপুত্র নদ ক্রমাগত ভাঙতে ভাঙতে বিদ্যালয়ের দ্বার গোড়ায় এসে পৌঁছে।
এ কারণে গত ২ সেপ্টেম্বর ওই বিদ্যালয়ের একটি পাকা ওয়ালসহ টিনসেট ঘর ( হাফবিল্ডিং) এবং নয়টি রেইনট্রি গাছ মাত্র ৪৮ হাজার পাঁচশ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বিতল ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হবে না বলে নিজেদের মত দেয়। ফলে ওই সময়ে সেটি (দ্বিতল ভবনটি) নিলাম দেওয়া হয়নি।